শফিকুর রহমান, সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। এতে জমির ওপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইটভাটায় যাওয়ায় উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এতে ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।
দিন-রাত মাটিবাহী ড্রাম্প ট্রাক চলাচল করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের জায়রা বিলের কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে। এসব ট্রাকের নিচে পড়ে আনেকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে বলে জানা যায়।
জায়রা বিলে সরকারি ভিপি ও কৃষকের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মোহাম্মদ মেজবা উল ভুঁইয়া কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী মোস্তাক আহমেদ মানিক বলেন, ফসলি জমির উপরের অংশের মাটি ইটভাটায়
বিক্রি করা হয়ে থাকে। এতে করে দেড় থেকে দুই বছর ওই জমিতে তেমন ফসল উৎপাদন হয় না। তবে প্রচুর পরিমাণ জৈব্য সার, খৈল, জিপসাম, ফসফেট ও পটাসসহ বিভিন্ন সার ব্যবহার করা হলে আগের মতো আবাদ হয়ে থাকে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তার জমি ধান চাষ করলে ভালো ফসল উৎপাদন করা যেত। আমার জমি চারদিকে জমির মাটি কেটে পেলায় পানির সমস্যা পরে যায়। যার জন্য আমার জমিতে গমের চাষ করেছি।
সরাইল উপজেলার মেসার্স আশা বিক্সস’র ১/২ মালিক মালিক রাসেল মিয়া ও বাদল মিয়া বলেন, পরিত্যাক্ত স্থানের মাটি ইটভাটায় ব্যবহার করা হয়। আর সামান্য পরিমাণ ফসলি জমির মাটি মিশিয়ে ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবা উল আলম ভুঁইয়া । ফসলি জমি থেকে ইটভাটায় মাটি না নেয়ার অপরাদে ভ্রম্যমান আদালতে কয়েকটি ইটভাটা জরিমানা করেছি। এছাড়া ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে যেন ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি না করার জন্য।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটা আনা আমি এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে কৃষকদের প্রতি আহবান কৃষি জমির মাটি বিক্রি না করার জন্য। গোচরন ভুমিকা ও উচু টিলার মাটি কাটা জন্য সকল ইটভাটা মালিকদের প্রতি আহবান করছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply